ব্যাকলিংক (Backlink) কি - কিভাবে ব্যাকলিংক তৈরি করবেন

ব্যাকলিংক: আপনার ওয়েবসাইটের সাফল্যের গোপন চাবিকাঠি

ডিজিটাল যুগে আমরা প্রায় সবাই অনলাইন ভিত্তিক হয়ে পড়েছি। আমরা বর্তমানে এমন একটি যুগে চলে এসেছি এখন ঘরে বসেই পৃথিবীর সব খবরাখবর পড়তে এবং দেখতে পারি আর এই সবকিছু সম্ভব অনলাইনের বিভিন্ন প্লাটফর্মের মাধ্যমে। আর এইসব প্লাটফর্মের মধ্যে সেরা এবং জনপ্রিয় হলো ওয়েবসাইট। আমরা আমাদের চিন্তা ভাবনা কে ব্রাউজারে সার্চ করলেই কাঙ্খিত রেজাল্ট পেয়ে যাই। বর্তমান যুগে কে না চায় নিজের একটি ওয়েবসাইট তৈরি করতে। আর এই ওয়েবসাইটের গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ হল ব্যাক লিংক। ওয়েবসাইটের সফলতা কেবল কন্টেন্টের গুণমানের উপর নির্ভর করে না এটি সার্চ ইঞ্জিনের র‍্যাংকিংয়ের ওপরও প্রভাব ফেলে। সার্চ ইঞ্জিনে ভালো র‍্যাংকিং পেতে হলে আপনার ওয়েবসাইটকে অন্যান্য বিশ্বস্ত এবং প্রাসঙ্গিক সাইটগুলির সাথে সংযুক্ত করতে হবে। আর এর একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হলো ব্যাকলিংক। ব্যাক লিঙ্ক দিয়ে আপনার ওয়েবসাইটটি খুব সহজে র‍্যাংক করাতে পারবেন। তাই আজকে আমরা জানবো ব্যাকলিংক সম্পর্কে। চলুন কথা না বাড়িয়ে শুরু করা যাক।

backlink, backlink create, what is backlink, seo
Backlink create tutorial



ব্যাকলিংক কি (What Is Backlink)

ব্যাকলিংক হলো অন্যান্য ওয়েবসাইট থেকে আপনার ওয়েবসাইটে নির্দেশকারী লিঙ্ক যা সার্চ ইঞ্জিনের কাছে আপনার ওয়েবসাইটের গুরুত্ব এবং প্রাসঙ্গিকতা নির্দেশ করে। যখন একটি ওয়েবসাইট আপনার কন্টেন্টকে মূল্যবান মনে করে এবং তাদের দর্শকদের সাথে শেয়ার করতে চায় তখন তারা আপনার সাইটের লিঙ্ক তাদের ওয়েবসাইটে অন্তর্ভুক্ত করে। এই লিঙ্কগুলোকে ব্যাকলিংক বা ইনবাউন্ড লিঙ্কও বলা হয়। আশা করি ব্যাক লিংক কি সেটা বুঝতে পেরেছেন।

what is backlink, backlink, create backlink, seo, on page seo, offpage seo

ব্যাকলিংক: একটি গুরুত্বপূর্ণ SEO উপাদান

ব্যাকলিংক এবং এসইও (Backlink and SEO)

ব্যাকলিংক আপনার ওয়েবসাইটের সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশনের এসইও (SEO) একটি মূল উপাদান। সার্চ ইঞ্জিনগুলো এই লিঙ্কগুলোকে একটি 'ভোট' হিসেবে গণ্য করে যা আপনার সাইটের গুণমান এবং প্রাসঙ্গিকতার প্রমাণ হয়। যত বেশি উচ্চমানের ব্যাকলিংক আপনার ওয়েবসাইটের জন্য থাকবে সার্চ ইঞ্জিনে আপনার ওয়েবসাইটের র‍্যাংকিং তত বেশি উন্নত হবে। এর ফলে আপনার ওয়েবসাইটের দর্শক সংখ্যা বাড়ানোর সম্ভাবনা বেড়ে যাবে। এছাড়াও ব্যাংকলিংক এসইও এর একটি অংশ হিসেবেও ধরা হয়।

ব্যাকলিংক কত প্রকার এবং কি কি (Types of backlinks)

ব্যাকলিংক প্রধানত ২ প্রকার:

১. Dofollow ব্যাকলিংক Dofollow ব্যাকলিংক এমন লিঙ্ক যা সার্চ ইঞ্জিনকে নির্দেশ করে যে এটি অনুসরণ করা উচিত এবং এটি আপনার ওয়েবসাইটের SEO তে সরাসরি প্রভাব ফেলে। এই ধরনের ব্যাকলিংক পেতে হলে আপনাকে উচ্চ মানের এবং প্রাসঙ্গিক কন্টেন্ট তৈরি করতে হবে। বিভিন্ন ওয়েবসাইটের মালিকদের সাথে সম্পর্ক গড়ে তুলতে হবে এবং লিঙ্ক বিনিময়ের মাধ্যমে Dofollow ব্যাকলিংক বাড়াতে হবে। এটি আপনার ওয়েবসাইটের ভিজিটর সংখ্যা এবং বিশ্বাসযোগ্যতা বাড়াতে সহায়ক। Dofollow ব্যাকলিংক ব্যবহার করে আপনার ওয়েবসাইট খুব দ্রুত গুগলের র‍্যাংকে নিয়ে আসা সম্ভব।

২. Nofollow ব্যাকলিংক Nofollow ব্যাকলিংক সার্চ ইঞ্জিনগুলোকে জানায় যে এটি অনুসরণ করা উচিত নয় এবং এটি সরাসরি SEO-তে প্রভাব ফেলবে না। তবে Nofollow ব্যাকলিংক আপনার ওয়েবসাইটে ট্রাফিক আনার একটি কার্যকর মাধ্যম হতে পারে। সাধারণত ব্লগ মন্তব্য, ফোরাম পোস্ট ও সোশ্যাল মিডিয়া প্রোফাইল এবং বিজ্ঞাপন লিঙ্কগুলিতে Nofollow ব্যাকলিংক পাওয়া যায়। এই ধরনের লিঙ্ক ব্র্যান্ড ভিজিবিলিটি ও সচেতনতা বৃদ্ধি করতে সহায়ক হয়। এককথায় Nofollow ব্যাকলিংক সার্চ রেজাল্টে র‍্যাংকিং করবে না কিন্তু আপনার ওয়েবসাইটে ভিজিটর পাবেন।

ব্যাকলিংকের গুরুত্ব

১. সার্চ ইঞ্জিন র‍্যাংকিং উন্নত করা

ব্যাকলিংক সার্চ ইঞ্জিন র‍্যাংকিং উন্নত করতে অত্যন্ত কার্যকর। সার্চ ইঞ্জিন গুগল ব্যাকলিংককে একটি গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর হিসেবে বিবেচনা করে। অন্য উচ্চমানের সাইট থেকে লিঙ্ক পাওয়া আপনার ওয়েবসাইটের গুণমান এবং প্রাসঙ্গিকতার প্রমাণ দেয় যা আপনার সার্চ ইঞ্জিন রেজাল্ট পেজে (SERP) উচ্চ স্থান দিতে সাহায্য করে। যেমন Pinterest, Qoura, Twitter, Facebook ইত্যাদি।

২. ভিজিটর সংখ্যা বৃদ্ধি করা

ব্যাকলিংক শুধু সার্চ ইঞ্জিনের মাধ্যমে ট্রাফিক আনতে সহায়ক নয় সরাসরি অন্যান্য সাইট থেকেও ট্রাফিক নিয়ে আসে। একটি প্রাসঙ্গিক এবং জনপ্রিয় সাইট থেকে লিঙ্ক পেলে সেই সাইটের ভিজিটর আপনার ওয়েবসাইটে আসে যা ট্রাফিক বৃদ্ধিতে অত্যন্ত কার্যকরী।

৩. ডোমেইন অথরিটি বাড়ানো

ডোমেইন অথরিটি (DA) হলো একটি ওয়েবসাইটের সার্চ ইঞ্জিনে র‍্যাংক করার ক্ষমতা প্রকাশকারী মেট্রিক। মানসম্পন্ন ব্যাকলিংক আপনার ডোমেইন অথরিটি বাড়ায় যা সার্চ ইঞ্জিনের কাছে আপনার সাইটকে আরো বিশ্বাসযোগ্য এবং প্রাসঙ্গিক করে তোলে। ব্যাক লিঙ্ক টুমেন্ট অথরিটি বাড়ানোর জন্য কার্যকরী একটি পন্থা।

৪. ব্র্যান্ড সচেতনতা এবং বিশ্বাসযোগ্যতা বৃদ্ধি করা

ব্যাকলিংক ব্র্যান্ড সচেতনতা এবং বিশ্বাসযোগ্যতা বৃদ্ধিতেও সহায়ক। উচ্চমানের সাইট থেকে লিঙ্ক পেলে আপনার ব্র্যান্ড আরও পরিচিত এবং বিশ্বাসযোগ্য হয়ে ওঠে যা বিক্রি বাড়াতে সাহায্য করে। ব্যাকলিংক আপনার ব্র্যান্ডকে পরিচিতি লাভ করিয়ে দেয়।

৫. প্রাসঙ্গিক সাইটের সাথে সংযোগ স্থাপন

ব্যাকলিংক আপনাকে অন্যান্য প্রাসঙ্গিক সাইটের সাথে সংযুক্ত করে যা আপনার সাইটের গ্রহণযোগ্যতা এবং প্রাসঙ্গিকতা বাড়ায়। এটি আপনার ওয়েবসাইটকে একটি নির্ভরযোগ্য উৎস হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে সাহায্য করে। এতে করে আপনার ওয়েবসাইটে ভিজিটর বৃদ্ধি পায়।

backlink, backlink seo, on page seo, offpage seo, dofollow seo

কিভাবে ব্যাকলিংক তৈরি করবেন (How To Create Backlink)

ব্যাকলিংক তৈরি একটি গুরুত্বপূর্ণ SEO কৌশল যা আপনার ওয়েবসাইটের সার্চ ইঞ্জিন র‍্যাংকিং এবং ব্র্যান্ডের প্রভাব বৃদ্ধি করতে সহায়ক হবে। সঠিকভাবে ব্যাকলিংক তৈরি করলে আপনার সাইটের ভিজিটর সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে এবং গুণমানসম্পন্ন ট্রাফিক পেতে সহায়ক হবে। এখানে ব্যাকলিংক তৈরি করার কিছু আধুনিক এবং কার্যকরী কৌশল তুলে ধরা হলো:

১. অতিথি পোস্টিং (Guest Posting)

অতিথি পোস্টিং (Guest Posting) হলো একটি প্রমাণিত কৌশল যেখানে আপনি মানসম্পন্ন কন্টেন্ট তৈরি করে প্রাসঙ্গিক ব্লগ বা নিউজ সাইটে প্রকাশ করেন। এই কন্টেন্টে আপনার সাইটের লিঙ্ক অন্তর্ভুক্ত করুন। এটি নতুন পাঠকদের কাছে পৌঁছাতে সাহায্য করবে এবং আপনার সাইটের জন্য মানসম্পন্ন ব্যাকলিংক তৈরি করবে। মনে রাখবেন পোস্টটি এমন সাইটে করতে হবে যা আপনার সাইটের বিষয়ে সম্পর্কিত এবং নির্ভরযোগ্য। তাই বর্তমানে যেগুলো সাইট র‍্যাংকিংয়ে আছে এবং লিংক সাবমিট করার অনুমতি দেয় সেগুলো সাইটে ব্যাকলিংক তৈরি করুন।

২. সামাজিক মিডিয়া প্রচার (Social Media Promotion)

সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলি, যেমন ফেসবুক, ইউটিউব, টুইটার, পিন্টারেষ্ট ও লিংকডইন এবং ইনস্টাগ্রাম ব্যবহার করে আপনার কন্টেন্ট শেয়ার করুন। এতে আপনার সাইটের লিঙ্ক অন্তর্ভুক্ত করলে এটি আপনার কন্টেন্টের উপস্থিতি বাড়াবে এবং সম্ভাব্য নতুন ব্যাকলিংক তৈরি করবে। এছাড়াও সোশ্যাল মিডিয়া গ্রুপ এবং কমিউনিটিতে অংশগ্রহণ করে আপনার কন্টেন্ট শেয়ার করা যেতে পারে এর ফলে আপনার সাইট র‍্যাংক করার পাশাপাশি ভিজিটর পাবেন অনেক।

৩. ব্লগ মন্তব্য (Blog Commenting)

প্রাসঙ্গিক ব্লগ এবং ফোরামে মন্তব্য করার মাধ্যমে আপনার সাইটের লিঙ্ক অন্তর্ভুক্ত করুন। যদিও অনেক মন্তব্য লিঙ্ক “Nofollow” থাকে তবে এটি আপনার সাইটের ভিজিটর সংখ্যা বাড়াতে সাহায্য করে এবং আপনার ব্র্যান্ডের পরিচিতি বাড়াতে সহায়ক হয়।

৪. ফোরাম এবং অনলাইন কমিউনিটি (Forums and Online Communities)

অনলাইন ফোরাম এবং কমিউনিটিতে অংশগ্রহণ করে এবং আপনার বিশেষজ্ঞ মতামত শেয়ার করে ব্যাকলিংক তৈরি করুন। উদাহরণস্বরূপ Qoura ও Reddit এবং অন্যান্য সংশ্লিষ্ট প্ল্যাটফর্মে সক্রিয় থাকুন এবং আপনার সাইটের লিঙ্ক প্রদান করুন। এটি আপনার ব্র্যান্ডের উপস্থিতি বাড়াবে এবং আপনি নতুন দর্শকদের কাছে পৌঁছাতে পারবেন এর ফলে আপনার সাইট র‍্যাংকিং করার পাশাপাশি ট্রাফিক নিয়ে আসতে পারবেন।

৫. ইনফ্লুয়েন্সার সহযোগিতা (Influencer Collaboration)

ইনফ্লুয়েন্সারদের সাথে সহযোগিতা করে তাদের মাধ্যমে আপনার সাইটের লিঙ্ক প্রচার করুন। ইনফ্লুয়েন্সারদের বৃহৎ অনুসরণকারী সংখ্যা আপনার সাইটের ট্রাফিক এবং ব্র্যান্ড সচেতনতা বাড়াতে সহায়ক হতে পারে। তাদের সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম বা ব্লগে আপনার লিঙ্ক শেয়ার করার জন্য একটি কার্যকর কন্টেন্ট তৈরি করুন যার মাধ্যমে আপনার ব্র্যান্ড পরিচিতি লাভ করবে।

৬. ভাঙা লিঙ্ক পুনরুদ্ধার (Broken Link Recovery)

ভাঙা লিঙ্ক খুঁজে বের করে তাদের জন্য আপনার সাইটের লিঙ্ক প্রস্তাব করুন। বিভিন্ন টুল যেমন Ahrefs বা Moz ব্যবহার করে ভাঙা লিঙ্ক সনাক্ত করুন এবং সংশ্লিষ্ট ওয়েবমাস্টারদের সাথে যোগাযোগ করুন। এই কৌশলটি আপনার সাইটের লিঙ্ক স্থানান্তরের একটি কার্যকরী উপায় হতে পারে এবং ওয়েব র‍্যাংক হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

৭. প্রবন্ধ ডিরেক্টরি এবং রিসোর্স পেজ (Article Directories and Resource Pages)

সাইটের ভিজিটর বৃদ্ধির জন্য আপনার কন্টেন্ট প্রাসঙ্গিক প্রবন্ধ ডিরেক্টরি এবং রিসোর্স পেজে জমা দিন। এটি আপনাকে উচ্চ গুণমানসম্পন্ন ব্যাকলিংক অর্জন করতে সাহায্য করবে এবং আপনার সাইটের ট্রাফিক বৃদ্ধি করবে। নিশ্চিত করুন যে আপনি সাইটের নীতিমালা অনুসরণ করছেন এবং মানসম্পন্ন কন্টেন্ট প্রদান করছেন।

৮. ইমেজ শেয়ারিং সাইট (Image Sharing Sites)

ইমেজ শেয়ারিং সাইট যেমন Pinterest Flickr এবং freepic ব্যবহার করে আপনার ব্র্যান্ডের ছবি শেয়ার করুন এবং সেই সাথে আপনার সাইটের লিঙ্ক অন্তর্ভুক্ত করুন। এটি আপনার ব্র্যান্ডের দৃশ্যমানতা বাড়াতে সহায়ক হবে এবং নতুন ভিজিটর আকর্ষণ করবে।

৯. প্রেস রিলিজ (Press Releases)

আপনার ব্র্যান্ড এবং সাইট সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রচার করার জন্য প্রেস রিলিজ ব্যবহার করুন। বিভিন্ন প্রেস রিলিজ সাইটে আপনার সংবাদ প্রকাশ করুন এবং সাইটের লিঙ্ক অন্তর্ভুক্ত করুন। এটি আপনাকে মিডিয়া কভারেজ এবং গুণমানসম্পন্ন ব্যাকলিংক অর্জনে সহায়ক করবে।

১০. ইনফোগ্রাফিক তৈরি ও প্রচার (Infographic Creation and Promotion)

আকর্ষণীয় এবং তথ্যপূর্ণ ইনফোগ্রাফিক তৈরি করুন এবং তা বিভিন্ন ইনফোগ্রাফিক শেয়ারিং সাইটে প্রকাশ করুন। এছাড়াও আপনার ইনফোগ্রাফিকের সাথে লিঙ্ক অন্তর্ভুক্ত করুন এবং এটি সোশ্যাল মিডিয়া ও ব্লগ এবং নিউজলেটারে প্রচার করুন এতে করে ভিজিটর বৃদ্ধি করতে পারবেন আপনার ওয়েবসাইটে।

১১. অন্তর্নিহিত কন্টেন্ট আপডেট (Updating Existing Content)

আপনার ওয়েবসাইটের পুরোনো কন্টেন্ট আপডেট করুন এবং সংশ্লিষ্ট নতুন তথ্য যোগ করুন। এতে পুরোনো লিঙ্কগুলি পুনরায় সক্রিয় হতে পারে এবং অন্যান্য সাইটগুলি এই আপডেটেড কন্টেন্টের জন্য নতুন ব্যাকলিংক দিতে পারে এতে করে আপনার ওয়েবসাইট র‍্যাংককিংয়ে সাহায্য হতে পারে।

১২. প্রশ্নোত্তর সাইটে অংশগ্রহণ (Q&A Sites Participation)

প্রশ্নোত্তর সাইট যেমন Quora বা Yahoo Answers-এ অংশগ্রহণ করুন এবং আপনার বিশেষজ্ঞ মতামত শেয়ার করুন। প্রাসঙ্গিক প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার সময় আপনার সাইটের লিঙ্ক অন্তর্ভুক্ত করুন এর মাধ্যমে আপনার ওয়েবসাইট র‍্যাংক করবে এবং ভিজিটর আসবে। তবে এটি প্রাসঙ্গিক ও সহায়ক হওয়া উচিত। ব্যাকলিংক তৈরি একটি ধারাবাহিক এবং পরিকল্পিত প্রক্রিয়া। সময় এবং ধৈর্যের মাধ্যমে সঠিক কৌশল প্রয়োগ করে আপনি আপনার সাইটের SEO উন্নত করতে এবং আপনার ব্র্যান্ডের পরিচিতি বাড়াতে সক্ষম হবেন। তাই ধৈর্য ধরে কাজ করুন।

সর্বশেষ কথা

উপরের আলোচনায় আমরা ব্যাকলিংক এবং এটি কীভাবে আপনার ওয়েবসাইটের সাফল্যের জন্য অপরিহার্য হতে পারে তা বিস্তারিতভাবে আলোচনা করেছি। ব্যাকলিংক শুধুমাত্র আপনার সাইটের ট্রাফিক বাড়ায় না, এটি সার্চ ইঞ্জিনের দৃষ্টিতে আপনার সাইটের মূল্যও বাড়ায়। Dofollow এবং Nofollow ব্যাকলিংক, উভয়ই আপনার সাইটের সার্বিক পারফরম্যান্স উন্নত করতে বিভিন্নভাবে সাহায্য করে। একটি শক্তিশালী ব্যাকলিংক কৌশল আপনাকে শুধু সার্চ ইঞ্জিনে উচ্চ অবস্থানে রাখবে না এটি আপনার সাইটের প্রতি দর্শকদের বিশ্বাসযোগ্যতাও বাড়াবে। সঠিকভাবে পরিকল্পিত এবং কার্যকরী ব্যাকলিংক কৌশল আপনার ডিজিটাল উপস্থিতিকে আরও সুসংহত করবে এবং আপনার লক্ষ্য পূরণে সহায়ক হবে। তাই ব্যাকলিংক তৈরি এবং ব্যবহারে সচেতন থাকুন এবং আপনার ওয়েবসাইটকে একটি শক্তিশালী ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত করুন। আশাকরি আপনি আমার এই ব্যাকলিংক আলোচনায় সম্পুর্ন ভাবে ধারণা পেয়েছেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আইটি ব্লগের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url