ক্লাউড কম্পিউটিং কি? ক্লাউড কম্পিউটিং কিভাবে কাজ করে? ক্লাউড কম্পিউটিং এর ভবিষ্যৎ

আসসালামুয়ালাইকুম, আশাকরি ভালো আছেন। আজকে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো ক্লাউড কম্পিউটিং নিয়ে। চলুন কথা না বাড়িয়ে শুরু করা যাক। বর্তমান যুগে প্রযুক্তির দ্রুত অগ্রগতি আমাদের জীবনকে অনেক বেশি সহজ করে তুলেছে। এর মধ্যে অন্যতম উদ্ভাবন হলো ক্লাউড কম্পিউটিং। এটি এমন একটি প্রযুক্তি যা ইন্টারনেট ব্যবহার করে তথ্য সংরক্ষণ ও শেয়ারিং এবং পরিচালনার সুবিধা প্রদান করে। cloud computing, ক্লাউড কম্পিউটিং, ক্লাউড কম্পিউটিং কি, itblog, blogit, it blog, blog it, itblogonline, it blog online, itblogonline.com, আইটি, ব্লগ, আইটি ব্লগ, আইটি ব্লগ অনলাইন

ক্লাউড কম্পিউটিং কী

ক্লাউড কম্পিউটিং বলতে বুঝায় এমন একটি সিস্টেম যেখানে ব্যবহারকারীরা তাদের ডাটা এবং অ্যাপ্লিকেশনগুলি অনলাইন সার্ভারে সংরক্ষণ ও পরিচালনা করতে পারে। এটি ব্যবহারকারীদের তাদের নিজস্ব হার্ডওয়্যার বা সফটওয়্যার রক্ষণাবেক্ষণ ছাড়াই যেকোনো সময় এবং যেকোনো স্থান থেকে অ্যাক্সেস করার সুবিধা প্রদান করে। আমরা হোস্টিং সম্পর্কে মোটামুটি সবাই জানি ঠিক এটাও একটি হোস্টিং এর মত কাজ করে।

ক্লাউড কম্পিউটিং-এর ধরণ

ক্লাউড কম্পিউটিং সাধারণত ৩ ধরনের:

1. সফটওয়্যার অ্যাজ এ সার্ভিস (SaaS): এখানে ব্যবহারকারীরা অনলাইন সফটওয়্যার ব্যবহার করতে পারেন যেমন জিমেইল বা গুগল ড্রাইভ।

2. প্ল্যাটফর্ম অ্যাজ এ সার্ভিস (PaaS): এই মডেলে ডেভেলপাররা অ্যাপ্লিকেশন তৈরি ও পরিচালনা করতে পারেন।

3. ইনফ্রাস্ট্রাকচার অ্যাজ এ সার্ভিস (IaaS): এটি ব্যবহারকারীদের ভার্চুয়াল মেশিন ও অন্যান্য রিসোর্স ভাড়া নেয়ার সুবিধা দেয়।

ক্লাউড কম্পিউটিং-এর সুবিধা

ক্লাউড কম্পিউটিং ব্যবহারকারীদের নিজস্ব ডাটা সেন্টার বা সার্ভার পরিচালনার প্রয়োজন হয় না যা খরচ অনেক কমিয়ে দেয়। যেকোনো ডিভাইস থেকে ইন্টারনেট কানেকশন থাকলেই ক্লাউডে সংরক্ষিত তথ্য বা অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করা যায় খুব সহজে। চাহিদা বাড়লে সহজেই সার্ভিস বাড়ানো যায় এবং কমলে কমিয়ে ফেলা যায়। তাই বর্তমানে ক্লাউড কম্পিউটিংয়ের চাহিদা বেড়ে চলেছে।

ক্লাউড কম্পিউটিং-এর ভবিষ্যৎ

ক্লাউড কম্পিউটিং-এর ব্যবহার দিন দিন বাড়ছে এবং ভবিষ্যতে এটি আরও উন্নত হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কারণ ক্লাউড কম্পিউটিং ব্যবহার করে অনেকেই সুবিধা পাচ্ছে এবং এটা ব্যবহার করা একদম সহজ। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এবং বিগ ডেটার সাথে এর একীকরণ প্রযুক্তির নতুন দিগন্ত খুলে দিচ্ছে যার ফলে এটির চাহিদা আরো অনেক বেশি বেড়ে যাবে। কারণ তখন আরো বিভিন্ন ফিচার যুক্ত হবে আরো বিভিন্ন ধরনের সুযোগ সুবিধা পাবে। সর্বশেষে বলা যায় ক্লাউড কম্পিউটিং এমন একটি প্রযুক্তি যা আমাদের দৈনন্দিন জীবন এবং কাজের ধরণকে এক নতুন মাত্রায় নিয়ে যেতে সাহায্য করছে। এছাড়া দিন দিন বেড়েই চলেছে এর ব্যবহার। আশাকরি ভবিষ্যতে আরো বেশি ফিচার যুক্ত হবে তখন ব্যবহারকারীরা আরো বেশি সুবিধা পাবে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আইটি ব্লগের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url