জমির খারিজ: প্রক্রিয়া ও ফি এবং অনলাইন পদ্ধতি
জমির খারিজ কী এবং কোথায় করতে হয়?
জমির খারিজ, যাকে সাধারণত নামজারি বলা হয়, একটি আইনগত প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে কোনো জমির মালিকানা পরিবর্তন হলে সেই পরিবর্তন সরকারিভাবে নথিভুক্ত করা হয়। জমি বিক্রয়, উপহার বা উত্তরাধিকার সূত্রে মালিকানা পরিবর্তন হলে খতিয়ানে নতুন মালিকের নাম অন্তর্ভুক্ত করতে হয়। খারিজ বা নামজারি করতে সংশ্লিষ্ট এলাকার উপজেলা ভূমি অফিস বা উপজেলা ভূমি রেকর্ড অফিস এ যেতে হয়।
জমির খারিজ করতে কত টাকা লাগে?
জমির খারিজ করতে খরচের পরিমাণ নির্ভর করে জমির ধরণ, অবস্থান, এবং প্রক্রিয়ার ওপর। সাধারণত ১% স্ট্যাম্প ডিউটি এবং নামজারি প্রক্রিয়ার জন্য নির্দিষ্ট কিছু সার্ভিস চার্জ রয়েছে। অনলাইনে আবেদন করলে অতিরিক্ত খরচ হয় না, তবে অ্যাডভোকেটের সাহায্য নিলে অতিরিক্ত ফি লাগতে পারে।
নামজারি খতিয়ান কোথায় পাওয়া যায়?
নামজারি বা খারিজ খতিয়ান পেতে হলে সংশ্লিষ্ট উপজেলা ভূমি অফিস বা তহসিল অফিস এ যোগাযোগ করতে হয়। জমির নামজারি সম্পন্ন হলে ভূমি অফিস থেকে খতিয়ান ইস্যু করা হয়, যা ভবিষ্যতে জমি সংক্রান্ত লেনদেনে প্রয়োজন হয়।
অনলাইনে জমি খারিজ করার পদ্ধতি
বাংলাদেশে এখন ই-নামজারি সিস্টেমের মাধ্যমে অনলাইনে জমি খারিজ করা যায়। এটি সময় সাশ্রয়ী এবং সহজ। অনলাইনে জমি খারিজ করতে:
- অনলাইনে আবেদন: নির্দিষ্ট ওয়েবসাইটে গিয়ে আবেদন করতে হবে।
- আবেদন যাচাই: ভূমি অফিস আবেদন যাচাই করবে এবং নোটিশ পাঠাবে।
- ফি প্রদান: নির্ধারিত ফি অনলাইনে প্রদান করতে হবে।
- শুনানি: প্রয়োজন হলে ভূমি অফিসে উপস্থিত হয়ে শুনানিতে অংশগ্রহণ করতে হবে।
- নামজারি অনুমোদন: সবকিছু সঠিক হলে নামজারি অনুমোদিত হবে।
জমি খারিজ করতে কতদিন সময় লাগে?
জমি খারিজ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে সাধারণত ৩০ থেকে ৬০ দিন সময় লাগে। তবে সব নথিপত্র সঠিক থাকলে এবং শুনানি দ্রুত সম্পন্ন হলে সময় কম লাগতে পারে।
জমি খারিজ চেক
জমির খারিজ চেক করতে নির্দিষ্ট ওয়েবসাইটে গিয়ে আবেদন নম্বর দিয়ে চেক করা যায়। এছাড়াও, ভূমি অফিসে গিয়ে সরাসরি খোঁজ নিতে পারেন।
আইটি ব্লগের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url